বৃহস্পতিবার , ১০ জুলাই ২০২৫ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লার সুয়াগাজী বাজারে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই অনিয়ম মাধ্যমে কেয়ার প্লাস মেডিকেল সেন্টারের উদ্ভোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জুলাই ১০, ২০২৫ ৩:৩৪ অপরাহ্ণ
পঠিত: ৫৭ বার

সদ্য উদ্ভোধন করেই রোগীদের পচন্দের বাহিরে নিজ ইচ্ছা মতে ডাক্তার দেখানো, রোগীরা ডাক্তার দেখাতে গেলেই বুঝে না বুঝে অহেতুক প্যাথলজিক্যাল টেস্ট(পরীক্ষা নিরীক্ষার)নামে ব্যাপক হয়রানী সহ নানান অনিয়ম আর সরকারি অনুমোদন ছাড়াই কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী বাজারের কেয়ার প্লাস মেডিক্যাল সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানটি।

সরজমিনে অনুসন্ধান স্থানীয়দের তথ্য মতে জানা যায়, ডা. মোজাম্মেল এবং মোস্তাফিজ দুই জনই আপন ভাই। দুজনেই গত বেশ কয়েক বছর ধরে গ্রীন লাইফ মেডিক্যাল সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। তাদের দুজনের মধ্যে গত কয়েকমাস যাবৎ পারিবারিক এবং ব্যবসায়ীক বাকবিন্ডতার হওয়ার কারণে ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন সহ সুয়াগাজী বাজারের কতিপয় কিছু হাতুরে গ্রামীণ ডাক্তার এর পার্টনারশীপ সমন্বয়ে দুই ভাই মুখোমুখী বাজারের একেই গলিতে দুইটি মেডিক্যাল সেন্টার খোলার কারণে দুই ভাইয়ের মধ্যে রেষারেষির কারণে বাজারে প্রকাশ্যে সমালোচনা সবার মুখে মুখে।

স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, কুমিল্লা সিটির রাজাপাড়া গ্রামের কারী জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার তিন ছেলের মধ্যে ডা.মোজাম্মেল দ্বিতীয়। ডা. মোজাম্মেল তার ছোট ভাই মোস্তাফিজকে নাম মাত্র মূল্যে (এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা) পার্টনার হিসেবে সাথে নিয়ে গত প্রায় ৭/৮ বছর যাবৎ গ্রীণ লাইফ মেডিক্যাল সেন্টারটি পরিচালনা করে আসছেন। এরেই মধ্যে তাদের মধ্যে পারিবারিক বাকবিন্ডতার জেরে ব্যবসায়িক বিরোধের সৃষ্টির কারণে মোস্তাফিজ তার ১৫% পার্টনারশীপ তিন ব্যক্তির নিকট ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করে গ্রীণ লাইফ মেডিকেল সেন্টার থেকে চলে গিয়ে তিনি পাশাপাশি কেয়ার প্লাস মেডিক্যাল সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানটি চলতি মাসের প্রথম দিকে সরকারী কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেন।

দুই ভাইয়ের দুইটি মেডিক্যাল সেন্টার বাজারের একেই গলিতে পাশাপাশি হওয়ার কারণ জানতে মুঠো ফোনে ডা. মোজাম্মেল হক ভূঁইয়াকে কল দিলে তিনি জানান,বিগত কয়েক বছর যাবৎ আমি আমার ভাইদের নিয়ে গ্রীণ লাইফ মেডিক্যাল সেন্টারটি পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু আমি এবং আমার ছোট ভাই মোস্তাফিজ এর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে ব্যবসায়ীক মতবিরোধ হওয়ার কারণে সে তার ১৫ % শেয়ার তিন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে নতুন ভাবে বাজারের স্বঘোষিত কিছু হাতুরে ডাক্তার নামধারীদের সাথে নিয়ে আমার প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একেই গলিতে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গত সপ্তাহ থেকে কেয়ার প্লাস মেডিকেল সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্ভোধন করে চালিয়ে যাচ্ছেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনী। ডা.মোজাম্মেল আরো জানান, আমার ছোট ভাই এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে বর্তমানে আমার গ্রীণ লাইফ মেডিকেল সেন্টার নামে বদনাম এবং আমার প্রতিষ্ঠানে চেম্বাররত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
ডা.মোজাম্মেল অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর যেই মোবাইল সীমটা ব্যবহার করতাম (০১৭০৯-০৩৪৫৫৬) নাম্বারটি সবার কাছে পরিচিত, রোগীরা যেই নাম্বারে কল করে সিরিয়াল দিতো আমাদের প্রেসক্রিপশন প্যাড থেকে শুরু করে সব জায়গায় যে নাম্বারটা দেওয়া, সেই নাম্বারটি মোস্তাফিজের নামে ছিলো। শেয়ার হস্তান্তরের সময় মোবাইলের নাম্বারটি হস্তান্তরের কথা থাকলেও তিনি তা করেননি।
বিভিন্ন উপায়ে প্রতিষ্ঠানের সীমটি ফেরত চাইলেও মোবাইল নাম্বারটি হস্তান্তর করেননি তিনি।
আমার সন্দেহ হসপিটাল থেকে পরিকল্পিতভাবে মোবাইলটা চুরি করানো হয়েছে দাবী করে এবিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি অভিযোগও করা হয় বলে তিনি জানান।

ডা. মোজাম্মেল দাবি করে বলেন, আমাকে মোস্তাফিজ গংরা নিয়মিত হয়রানি সহ ভয়ভীতি হুমকি দমকি প্রদর্শনের মাধ্যমে আমার গ্রীণ লাইফ মেডিকেল সেন্টার নামে মিথ্যা অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছেন যার কারণে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসা ব্যবস্থা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ রোগীদের হয়রানি ও রোগীদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশী আইন অনুযায়ী ফৌজদারি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমি মোস্তাফিজ গংদের বিচার দাবী করছি।

কেয়ার প্লাস মেডিকেল সেন্টার এর অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি জানান, আপনি কে আগে আপনাকে আইডিন্টি ফাই করে জানতে হবে। আপনি কার কাছে জানলেন আর আমার মোবাইল নাম্বার কই পাইলেন বলে জেরা করতে থাকে। মোস্তাফিজ আরো বলেন,কুমিল্লায় তো আরো অনেক সাংবাদিক আছে কই তারা তো আমার মেডিকেলের বিষয়ে কোন আপত্তি জানায় না,আমার প্রতিষ্ঠানে পক্ষে প্রচার প্রচারণা করে। আপনি কেন আপত্তি জানালেন বলে প্রশ্ন তুলে বলেন এই সুয়াগাজিতে তো আরো কয়েকটা মেডিকেল সেন্টার আছে যারা গত তিন চার বছর ধরে তাদের কাগজপত্র নবায়ণ করতে পারে না বলে মন্তব্য করেন। মোস্তাফিজ জানান, আমি ট্রেড লাইসেন্স করে অনুমোদনের জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালু করেছি। আপনি আমার সাথে সরাসরি দেখা করেন বলে জানান।

কেয়ার প্লাস মেডিকেল সেন্টার এর অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চেয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিনকে একাদিকবার কল দিলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নিউজের স্বার্থে কেয়ার প্লাস মেডিকেল সেন্টার এর অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চেয়ে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদকে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন,আমি মাত্র তিনমাস হয় কুমিল্লায় যোগদান করেছি,আমার অনেক কিছুই এখনো অজানা। আপনারা সাংবাদিকরা লিখিত অভিযোগ কিংবা তথ্য দিলে আমি অনুমোদনহীন ক্লিনিক,মেডিকেল সেন্টারের বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Facebook Comments Box

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

সর্বশেষ - CPC 2

আপনার জন্য নির্বাচিত

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ গলিয়ারায় বিএনপির নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আগামীকাল ৬০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে- আবহাওয়া অফিস

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ক্রেতা সেজে উপজেলা প্রশাসনের  মিস্বান্নী বাজারে অভিযান আটক ০৯ জন,  পশু জব্দ ৬৮

এ বছর কুমিল্লায় হবে না কুমারী পূজা

কুসিকের ১ হাজার ৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা

বিসিএস প্রশ্নফাঁসে আটক সোহলের বোন হালিমা কর্মরত মুরাদনগর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে

কুমিল্লার দেবিদ্বারে আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের মৃত্যু

“বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : পুলিশের তৎপরতায় অভিযুক্ত সনাক্ত”

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির ০৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা

কাজী সালিমুল হক কামাল ও রবিউল ইসলাম নয়নের জনসভায় হাজারো মানুষের ঢল