
রাজধানীর ডেমরা থানাধীন মাতুয়াইল নিউ টাউনের একটি বহুতল ভবনের অষ্টম তলার একটি ফ্ল্যাটে দিনের বেলায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার মূল্যবান মালামাল চুরি হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ জাবেদ হোসেন।
ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং পরিবারসহ মাতুয়াইল নিউ টাউনের হোল্ডিং নং ৮৭/১০, ব্লক-এ, আব্দুল লতিফ ভূইয়া সড়কে হাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূইয়ার মালিকানাধীন ভবনের অষ্টম তলায় ভাড়া থাকেন।
জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সকাল আনুমানিক ১০টা নাগাদ তিনি পরিবারসহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আড্ডা গ্রামে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাসায় তালা লাগিয়ে রওনা হন। দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে, বাড়ির মালিকের স্ত্রী মুক্তা বেগম ফোন করে জানান, তাদের বাসায় চুরি হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে জাবেদ হোসেন ঢাকা ফিরে এসে দেখেন, ফ্ল্যাটের দরজার তালা ভাঙা এবং ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। চুরি যাওয়া মালামালের মধ্যে ছিল: একটি লেনোভো ল্যাপটপ (মূল্য: ৭০,০০০ টাকা), একটি স্যামসাং ট্যাব (মূল্য: ৩০,০০০ টাকা), স্ত্রী’র ব্যবহৃত প্রায় ৫০,০০০ টাকার কসমেটিকস প্রায় ১.৫ ভরি স্বর্ণালংকার (মূল্য: ২,১০,০০০ টাকা),
একটি ডায়মন্ডের আংটি (মূল্য: ৩৫,০০০ টাকা), তিনটি মাটির ব্যাংকে থাকা নগদ অর্থ (৭০,০০০ টাকা), ১,০০০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মূল্য: ১,২৫,০০০ টাকা), ৬০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত (মূল্য: ১৮,০০০ টাকা),
৫০০ চীনা আরএমবি (মূল্য: ৯,০০০ টাকা)
৭,০০০ থাই বাত (মূল্য: ২৮,০০০ টাকা),
একটি ভিসাসহ পাসপোর্ট (পাসপোর্ট নম্বর: BB0887129), একটি পুরাতন আইফোন ১৬ মোবাইল ফোন (মূল্য: ৬০,০০০ টাকা)
সর্বমোট ৭,০৫,০০০ (সাত লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ভুক্তভোগী জাবেদ হোসেন আরও অভিযোগ করেন, চুরির ঘটনায় বাড়ির মালিক হাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূইয়া এবং নিরাপত্তারক্ষী সেপালের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে।
ঘটনার পর থানায় এসে তিনি অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরদের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
ডেমরা থানা পুলিশ জানিয়েছে, এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং শিগগিরই চোরদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।