সোমবার , ১৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতিসমূহ, হাত দিলেই সাপের মত ছোবল মারবে!

ঢাকা আউটলুক ডেস্ক :
অক্টোবর ১৪, ২০২৪ ২:৫৯ অপরাহ্ণ
পঠিত: ৯৫ বার

বাংলাদেশের মূল সংবিধান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের একটি মূল দলিল। এ সংবিধানটি উৎকৃষ্ট এবং বিভিন্ন দিক দিয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো

১. লিখিত দলিল : মূল সংবিধান একটি সুলিখিত দলিল। এতে ১টি প্রস্তাবনা, ৪টি তফসিল, ১১টি ভাগ এবং ১৫৩টি অনুচ্ছেদ আছে। (এটি কোন মৌখিক বা লৌকিক নহে, কাগজ কলম দস্তাবেজে লিখিত)

২. দুষ্পরিবর্তনীয় : বাংলাদেশের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়। তবে সংশোধন পদ্ধতি খুব কঠিন নয়। সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী প্রস্তাব পাস করানো যায়। (অর্থাৎ যে সরকার গনতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠন করবে সে সরকারই সংবিধান সংশোধন করতে পারবে৷ সংসদ সদস্যদের সংখ্যা গরিষ্ঠের কন্ঠভোটের মাধ্যমে, কোন অন্ত:বর্তি বা তত্ত্ববধায়ক সরকার তার একটি অক্ষর ও পরিবর্তন করতে পারবে না। যদি কেহ করে তাহলে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহীতায় আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে)৷

৩. রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি : সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা-এই চারটি মূলনীতিকে সংবিধানের মূল স্তম্ভ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ( দেশের সব নাগরিক এই সংবিধানের আলোকে ৪ টি মূলনীতিকে মনে প্রাণে ধারণ করে রাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে)৷

৪. মৌলিক অধিকার : সংবিধানের জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাষ্ট্রের নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য সংবিধানে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

৫. এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র : সংবিধানে বাংলাদেশকে একটি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রিয় সরকারই সব ক্ষমতার অধিকারী। কেন্দ্রিয় আইনসভাই সার্বভৌম আইন প্রণয়নকারী সংস্থা। (বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের মত দুই কক্ষ বিশিষ্ট নহে, এক কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ)।

৬. প্রজাতন্ত্র : বাংলাদেশ একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। রাষ্ট্রপতি হবেন রাষ্ট্রপ্রধান এবং তাঁর নামে রাষ্ট্রের শাসন কার্য পরিচালিত হবে। রাষ্ট্রপ্রধান জাতীয় সংসদের সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হবেন। এক-কক্ষবিশিষ্ট

৭.আইনসভা : সংবিধানে দেশের জন্য একটি এক-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার বিধান করা হয়। ৩০০ জন নির্বাচিত ও ১৫ জন সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ মোট ৩১৫ জন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হবে। পরবর্তীতে সংরক্ষিত মহিলা আসন বৃদ্ধি করে ৩০ জন এবং চতুর্দশ সংশোধনীতে বৃদ্ধি করে তা ৪৫ করায় বর্তমানে সংসদ সদস্য সংখ্যা ৩৪৫ জন।

৮. সংসদীয় পদ্ধতির সরকার : মূল সংবিধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী করে তার মন্ত্রিপরিষদকে দেশের প্রকৃত শাসক করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সকল কাজের জন্য সংসদের নিকট জবাবদিহি করবে।

৯.বিচার বিভাগের স্বাধীনতা : সংবিধানে বাংলাদেশের জন্য একটি সর্বোচ্চ আদালত গঠনের ব্যবস্থা করা হয়। সুপ্রীম কোর্ট হবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। এই আদালত সংবিধানের প্রাধান্য নিশ্চিত করবে এবং তার স্বাধীনতা সংরক্ষণ করবে।

১০. ন্যায়পাল : সরকারি যে কোন কর্তৃপক্ষের কাজের নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সংবিধানে ন্যায়পালের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ন্যায়পাল যে কোন বিষয়ে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে পারবেন।

১১. সাংবিধানিক প্রাধান্য : সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ এবং জনগণের পক্ষে ঐসব ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল সংবিধানের অধীনে ও কর্তৃত্বে কার্যকর হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

সর্বশেষ - CPC 2

আপনার জন্য নির্বাচিত

কুমিল্লাবাসী যখন জাগে, তখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের ফ্যাসিবাদ-দুঃশাসন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়: হাসনাত

কুমিল্লায় গণধর্ষনে আত্মগোপনে থাকা আসামী নবীর গ্রেফতার

কুমিল্লায় মরহুম সাংবাদিকদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মাসাস’র ইফতার মাহফিল

চট্টগ্রাম প্রতিদিন অফিসে সংঘবদ্ধ হামলার চেষ্টায় ক্ষোভ, প্রতিবাদ, নিন্দার ঝড়

কুমিল্লায় তিনদিন ব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন: জেলা প্রসাসকের

কুমিল্লায় আইনজীবি হত্যা মামলার  অন্যতম আসামী স্বেচ্চাসেবক লীগ নেতা বাচ্চু ও সহযোগী ফাহিম যৌথবাহীনির হাতে গ্রেফতার

কুমিল্লা জেলাতে বজ্রপাতে নিহত ৪

কুমিল্লায় কাঁঠাল খাওয়ার পর দুই শিশুর রহস্যময় মৃত্যু

ড্রামের ভেতরে ৮৪ কেজি গাঁজা’সহ আটক এক

ইজতেমা মাঠে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত শতাধিক