
কুমিল্লায় ওয়ার্কশপ মালিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ , হত্যা কান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে বাড়ির ভাড়াটিয়া দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে সিআইডি টিম উপস্থিত হয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে।
রোববার (১০ আগস্ট) সকালে উপজেলার চাঁদপুর জনতা হাইস্কুল সংলগ্ন ওয়ার্কশপ সংলগ্ন বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুলাল মিয়া নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের বড় দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সদর দক্ষিণ উপজেলার বড় দুর্গাপুর এলাকায় ওয়ার্কশপ মালিক দুলাল মিয়া। ভবনের মালিক ঢাকায় অবস্থান করায় এ ওয়ার্কশপসহ একতলা একটি বাড়ি তিনি দেখাশোনা করতেন। শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে দুলাল মিয়া ওই বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার বাসায় ভাড়া তুলতে যান। এরপর আর তিনি ঘরে ফিরেননি।
পরে রোববার সকালে স্বজনরা তার দোকানে ছুটে আসেন এবং দোকান সংলগ্ন ওই বাড়ির কক্ষ থেকে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় সিআইডির একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করে।
তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে বাড়ির ভাড়াটিয়া দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ওই ভাড়াটিয়ার বাড়ি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলায়।
আরও জানা যায় ওই বাড়িতে শুধুমাত্র অই দম্পতিই ভাড়া থাকতো।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই মোস্তফা কামাল জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের যে কোন সময়ে তাকে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত দুলাল মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
তিনি আরও জানান, নিহত দুলাল মিয়ার মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে ভাড়াটিয়া দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।