শনিবার , ২৪ মে ২০২৫ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে ওঠা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের রহস্য

ঢাকা আউটলুক ডেস্ক :
মে ২৪, ২০২৫ ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ
পঠিত: ৭৪ বার

কুমিল্লা জেলার প্রত্যেকটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে রয়েছে নিজস্ব টর্চার সেল, চিকিৎসার নামে চলছে রমরমা বিপুল অর্থের বাণিজ্য । যারা পথভ্রষ্ট মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ে তাদের চিকিৎসার একমাত্র অবলম্বন হলো মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র। পরিবার খুব আশা ভরসা নিয়ে এসব কেন্দ্রে তাদের সন্তান, স্বামী আত্মীয় স্বজনদের ভাল হওয়ার জন্য চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রত্যেকটি মাদকাসক্ত নিরামায় কেন্দ্রে রয়েছে নিজস্ব টর্চার সেল নেই কোন উন্নত মানের চিকিৎসক।

কয়েকজন চিকিৎসা নিতে আসা নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়। ভেতরের রহস্য…….


 

চেতানা নাশক ইনজেকশন পুস করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কৌশলঃ

তাদের পরিবার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে থাকে, যিনি এই কেন্দ্রটি পরিচালনা করেন তাকে বলা হয় ব্রাদার। কোন কোন ব্যাক্তিকে তিন মাস ,ছয় মাস করে টাকা নিয়ে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে থাকেন কিন্তু যারা আবার অর্থ বিত্তশালী পরিবার রয়েছে তাদের সন্তান ভাল হওয়ার পরও তার পরিবারের সাথে দেখা করার পূর্বে চেতনা নাশক ইনজেকশন পুস করা হয় । যেন তার পরিবার বুঝতে পারে আমার ছেলে একেবারেই শেষ তখন তাকে আরো চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করে রাখা হয় তার বিনিময়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক ব্রাদার নামে অভিহিত।


নেই কোন চিকিৎসকঃ
কুমিল্লা জেলার প্রত্যেকটি নিরাময় কেন্দ্রে নেই কোন ইনটুক্সেকেটিং বিশেষজ্ঞ অথ্যাৎ চিকিৎসক। জানা গেছে যারা এই খানে দিনের পর দিন থেকে অব্যস্থ হয়ে গিয়েছে তারাই পিটিয়ে পিটিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে। নতুন ভর্তি হওয়া মাদকসেবীদের।


খাবারের মানঃ
পরিবারের থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে রোগী ভর্তি করা হলেও সকাল বেলা তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে রুটি আর পানির মত ডাল, দুপুরে খাবারের জন্য দেওয়া হচ্ছে সবজি আর ভাত, আর রাতে দুপুরের খাবারটি দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে কিন্তু পরিবারের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকচক্র নিরাময় কেন্দ্র।


পরিবারকে বললে মারধরঃ
পরিবার থেকে যারা দেখা করতে আসে তাদের অফিস থেকে একজন লোক রুগীর সাথে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই ব্যাক্তি বলেন আমি এখানে খুব ভাল আছি কোন সমস্যা নেই, সবসময় ভাল খাবার দেওয়া হয়। আর কেউ যদি বলেন আমাকে তারা মারধর করে ঠিকমত খাবার পাইনা তখন রুগীর স্বজনদের কোন রকম বুজিয়ে বলে , আরে আপনার ছেলে এখনো ভাল হয় নাই তাই ওল্টা পাল্টা কথা বলতেছে নেশার বেরা উঠছে। কোন রকম বুঝিয়ে দিয়ে রুগীর স্বজনদের বিদায় করে। স্বজনরা যাওয়ার পরই চিকিৎসা নিতে আসা লোককে বেধে বেধড়ক পিটিয়ে কয়েকদিন না খাইয়ে রাখেন।


দিনের পর দিন আটকিয়ে রাখাঃ
মাদকাসক্ত রোগীরা ভালোতো হয় না বরং দিনের পর দিন আটকিয়ে রেখে পরিবারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করা হয়। আর যদি অর্থশালী কোন রোগী হয় তাহলে তাদের জন্য আরো ভাল হয় আটকিয়ে রেখে মোটা অংকের টাকা নেওয়া হয় প্রত্যেক মাসে মাসে।


পরিবেশের অবস্থাঃ
ভূক্তভোগী জানান নিরাময় কেন্দ্রের অবস্থা একদমই খারাপ একটা কক্ষে একাধিক লোক থাকতে হয়। টাকা পয়সা বেশি দিলে বেডে থাকতে দিতে দেয়। ঘুমাতে সমস্যা হলে বললে মারধর এবং কি সারারাত দাড়িয়ে থাকতে হয়।

অডিটে আসলে ওদের শিখানো কথা বলতেঃ 

চিকিৎসা নিতে আসা ব্যাক্তিরা জানান মাদকদ্রব্যের কর্মকর্তারা সহ বিভিন্ন সংস্থার লোক আসলে তারা যদি প্রশ্ন করে তাহলে  আমরা ভাল বলতে হয় নতুবা তারা গেলে যারা খারাপ উত্তর দিবে তাদেরকে ইচ্ছেমত মারধর করা হয়।

জড়িয়ে আছেন কর্মকর্তারাওঃ 

যদি কোন নিরাময় কেন্দ্রে  অডিটে আসা ব্যাক্তিরা কোন অনিয়ম খুজেঁ পাওয়া যায় তাহলে তাদেরকে অনৈতিক ভাবে টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করা হয়।

 

কুমিল্লা শহরে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে ওঠা উল্লেখযোগ্য মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র গুলো হলো পুঃণরায় জীবন, পূর্ণতা, জন্ম, জাগো, যত্ন, দর্পন, স্বপ্নীল, হৃদয়, কুমিল্লা মনোজগৎ উল্লেখযোগ্য।

সুশীল সমাজ বলছে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র নামক প্রতিষ্ঠানগুলো চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে যাচ্ছেন তাদেরকে সঠিক তদারকির মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Facebook Comments Box

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

সর্বশেষ - CPC 2