কুমিল্লা নগরীর সংগরাইশ এলাকার পূর্ব বৈরাগী পাড়া ১৬ নং ওয়ার্ড আবুল মিয়ার ছেলে দারুল মদিনা মাদ্রাসার হুজুরের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে মেরে জোর পূর্বক ঔষুধ খাইয়ে ভ্রুণ নষ্ট করা অভিযোগ উঠেছে, তার স্বামী রবিউল হাসান, শশুর আবুল মিয়া, শাশুড়ি হোসনেয়ারা বেগম ও তার ছোট বোন আকলিমা আক্তার আঁখি এর বিরুদ্ধে।
জানাযায় গত ০৬ মাস পূর্বে রবিউল এবং শামবক্সি এলাকার ফরহাদ হোসেন এর মেয়ের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেইে তার স্বামী , শশুর-শাশুড়ি এবং ননদ ভিবিন্ন ভাবে মারধর করেন এবং ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
প্রিয়া আরো বলেন আমার স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত আমি তাকে কথা বলতে দেখে হাতে-নাতে ধরি কিন্তু কাউকে না বলার জন্য আমাকে কাকুতি-মিনতি করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি রাজি হই কিন্তু কয়েকদিন পর আবারো ফোনে কথা বলা শুরু করে । আমি বাধা দিলে আমাকে মারধর করে। এবং তার পরিবার দিয়ে ০৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে।
গত ০৮ আগস্ট প্রিয়াকে তার ভ্রুণ নষ্ট করার জন্য দুধের সাথে ঔষুধ মিশিয়ে দিয়ে তার শশুর শাশুড়ি ননদ তার মুখ চেপে ধরে ঔষুধ খাইয়ে দেয় । তার পরই তার ওপর শারিরিক এবং মানষিক নির্যাতন করা হয়। প্রিয়া আক্তার আরো বলেন আমি যখন বাড়িতে একা থাকতাম তখন আমার শশুড় আমার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে অনৈতিক প্রস্তাব করেন। আমি তাহাতে রাজি না হয়ে বলি আপনার ছেলেকে বলে দিবো, তখন তিনি বলেন আমার ছেলে রবিউল কিছুই বলবে না।
এরপরই তার ওপর চলে নির্যাতন । নির্যাতন এর পর প্রিয়া আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্বামী রবিউল প্রিয়ার মা-বাবা কে জানায় এবং মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে । তার বাবা-মা বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেখেন তার মেয়ে অনেক অসুস্থ তল পেট (উরু) দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে , তার মা প্রিয়াকে জিজ্ঞেস করাতে বলেন আমাকে রবিউল তলপেটে (উরুতে) লাথি মেরেছে তার পর থেকেই আমার রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। তার বাবা-মা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালে ভর্তি করেন। বর্তমানে প্রিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছে, ডাক্তার জানান তার অবস্থা সংকাটাপন্ন তাকে দ্রুত অপারেশন করতে হবে এবং তার জরায়ু কেটে ফেলতে হবে না হয় তাকে বাঁচানো সম্ভব না।
তার বাবা ফরহাদ হোসেন বলেন আমি তাদের কঠিন বিচার চাই যাতে আমার মেয়ের এই অবস্থা করার কারনে। প্রিয়া আক্তাররের মা বলেন আমি মনে করেছি মাসিকের কোন রক্ত হবে কিন্তু যে ভাবে রক্ত বের হচ্ছে তাতে আমার সন্দেহ হলে দ্রুত তাকে হসপিটালে নিয়ে আসি যখন ডাক্তার বললেন আমার মেয়ের জরায়ু কেটে ফেলতে হবে এবং ভ্রুণ নস্ট করা হয়েছে আমি শংকিত অবস্থায় আছি আমি তাদের বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচার দাবি করছি। প্রিয়া আক্তার এর চাচাতো বোন বলেন তার ভ্রুণ নস্ট করা হয়েছে এখন তার একটি মেজর অপারেশন করতে হবে। তার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে রবিউল এর পরিবার, চিকিৎসা শেষে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো, যেন বাংলাদেশের কোন মেয়ে এমন নির্যাতন এর শিকার না হয়।
উক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তার স্বামী রবিউলকে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি আস্তাগফিরুল্লাহ আল্লাহর কসম এসব কথা বলে প্রতিবেদককে গোমড়া করার চেষ্টা করেন । তলপেটে লাথি এবং জোর পূর্বক ঔষুধ খাওয়ানোর কথা বলতেই তিনি প্রিয়ার কুৎসা রটনা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তার মা হোসনেয়ারা বেগম ব্যাঙ্গ চিত্তে বলতে থাকেন আমার ছেলেকে আপনারা মামলা দিবেন, প্রতিবেদক বললেন আমরা তো মামলা দেওয়ার কেহ না আমরা প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য ফোন দিয়েছি। হোসনেয়ারা বেগম
প্রতিবেদককে বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে, এক পর্যায়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করার পর তার মা বলেন আমরা মেয়েকে মেরেছি, আমরা তো ভালো না। এই বলে তিনি ফোন রেখে দেন।
© www.newsnewstbd.com
নিউজনেস্ট