গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার মুরাদনগরে এক সনাতনী নারীকে দরজা ভেঙ্গে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ উঠে ফজর আলীর বিরুদ্ধে তারপরই ভূক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মুরাদনগর থানা পুলিশ মামলাটি ২৭ তারিখ রেকর্ড করার পরও আসামী ধরাছোঁয়াড় বাহিরে ছিল।

ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসনের টনক নড়ে । দেশ জুড়ে নিন্দাসহ ঢাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয় রাতেই।
তবে রাতেই কুমিল্লা জেলার প্রশাসনের একধিক টিম কাজ করলেও আসামীকে গ্রেফতার করতে ব্যার্থ হয়। পরবতীতে ঢাকার ডিবি পুলিশের একটি চৌকস একটি টিম ফজর আলীকে সায়েদাবাদ থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করার পর ফজর আলীকে কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়। তবে ফজর আলীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল আসামী ফজর আলীর কোন গ্রেফতারকৃত ছবি দেখাতে পারেন নি জেলা পুলিশ সুপার। এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান কোন প্রেস বিজ্ঞপ্তিও প্রদান করেন নি।

রহস্যঘেরা ঘটনা:

মামলার বাদী ভিকটিম একাধিক ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া বক্তব্য দিচ্ছেন যে, তিনি মামলা তুলে নিবেন! দেশের সবাই শান্তিতে থাকুক তবে, ৪ জনকে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামল তুলে নেওয়ার বক্তব্যের কারন কি? নাকি কোন অদৃশ্য শক্তি পেছনে কাজ করছেন যার কারনে তিনি ভয়ে কোন কিছু বলতে পারছেন না?
একবার বলনে মামলা তুলে নিবেন। জাতিকে প্রশ্ন বিদ্ধ করছেন কিনা?
এই দিকে বিএনপি বলছে ফজর আলী নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন আবার আওয়মীলীগ বলছেন সে বিএনপির কর্মী। পটপরিবর্তনের ফলে বিএনপিতে যোগদান করে ওই এলাকায় ভিবিন্ন অপকর্ম করে বেড়ান। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগে আওয়ামী লীগ বলেন
আসুন দেখি মুরাদনগরের সংখ্যালঘু ধর্ষনকারী ফজর আলী কেমন আওয়ামীলীগ করে?

- ৫ই আগস্টের পরেও তার জীবন সংশয় হয় নাই। যেমন সংশয় হয় নাই সারজিস, হাসনাত, মাহফুজ সহ হাজারো এন সি পির।-

১০ মাস ধরে নিজ এলাকায় সদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে ফজর আলী।

- বিএনপি সমর্থিত দলবল নিয়ে প্রায়ই এলাকায় মোরাল পুলিসিং অপারেশন চালায় ফজর আলী।
- উক্ত ওয়ার্ডের বিএনপি সেক্রেটারি ক্যান্ডিডেট ফজর আলী।
- তাকে ফাসাতেই ওই ওয়ার্ডের প্রতিপক্ষ সেক্রেটারি ক্যান্ডিডেট প্রার্থী ভিডিওটা ভাইরাল করায়।
- সংখ্যালঘু ঐ নারীর বাড়িতে হামলার সময় ১০ এর অধিক বিএনপির কর্মি ফজর আলীর সাথে ছিল।

আর এই দিকে বিএনপি বলছে
মুরাদনগরে হিন্দু নারীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত আ.লীগ নেতাকে বিএনপি বানিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে!

কুমিল্লার মুরাদনগরে বসতঘরের দরজা ভেঙে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফজর আলীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর অভিযুক্তকে বিএনপি নেতা বলে প্রচার চালানো নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে। ২৫ বছর বয়সী ওই নারী বর্তমানে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
ভুক্তভোগী নারী নিজে বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাত আনুমানিক ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী তার বাড়ির দরজায় এসে ডাকাডাকি শুরু করে। তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে একপর্যায়ে ফজর আলী জোরপূর্বক দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে ধর্ষণ করে।
তাহলে বুঝা যাচ্ছে দুই দলের রোষালনে পড়ে একজন নারীকে ধর্ষণ করা আসামীকে নিয়ে এতো টানা হেচড়ার কি কোন প্রয়োজন আছে?
নেপথ্যে কারা রয়েছে নাকি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চলছে?
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন স্থানীয় চেয়্যারম্যান এর সাথে ছবি থাকতে দেয়া যায় ফজর আলীকে এবং পটপরির্বতেনে ফলে বিএনপির সাথে মিশে এলাকায় অপর্কর্ম করেছেন ফজর আলী ।
সূত্রে পাওয়া খবরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীকে দরজা ভেঙ্গে ধর্ষণের ঘটনায় আর্ন্তজাতিক আদালতে মামলা পক্রিয়াধীন।
তবে একটি চক্র ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়র জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তকমা লাগাচ্ছেন রাষ্ট্রকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত চলছে। এঘটনার অধিকতর তদন্ত করার আহবান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস