#প্রবাসী বাংলাদেশের মধ্যে কুমিল্লা ১ম অবস্থান
নিজস্ব প্রতিবেদক //
চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৪ ব্যাংকের কুমিল্লা শাখায় ১৮১২ কোটি ১২৭ লাখ টাকার রেমিট্যান্স এসেছে। গত ৫ মাসে প্রবাসীদের মধ্য থেকে বৈধ উপায়ে এ অর্থ আসে। সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর শাখা অফিস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, নতুন অর্থবছরে জনতা ব্যাংকের ৬৯ টি শাখায় ৮৫০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ৩২টি শাখায় ৭৫৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ২৮টি শাখায় ১২৩ কোটি টাকা এবং রূপালী ব্যাংকের ৭৪টি শাখায় ৮১ কোটি ৪০ লাখ টাকার রেমিট্যান্স এসেছে। সোনালী ব্যাংক রেমিটেন্সের তথ্য দিতে নারাজ। কান্দিরপাড়ের মনোহরপুর সোনালী ব্যাংক শাখার ম্যানেজার শরীত উল্লাহ তথ্য না দিতে অনুরোধ করে।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংক ছাড়াও বেসরকারি বিভিন্ন বানিজ্যিক ব্যাংক যেমন- ইসলামি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ন্যাশানাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংকসহ প্রভৃতি ব্যাংকগুলোতে প্রবাসীরা নিজেদের উপার্জিত টাকা লেনদেন করে থাকেন। অনেকে অতিরিক্ত লাভের আশায় অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ প্রেরন করেন। তবে সঙ্গত কারণে সেসব তথ্য উল্লেখ করা যায়নি।
কুমিল্লা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর মতে, বিশ্বের ১৬৮টি দেশে মোট ১ কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মরত আছেন। এদের মধ্যে কুমিল্লায় বৈধ শ্রমজীবীর সংখ্যা ৮ লাখ ১৯ হাজার। দেশের অন্যান্য জেলা বিবেচনায় কুমিল্লায় প্রবাসীদের সংখ্যা ১ম স্থানে অবস্থান করছে। যারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানান দেশে হরেক রকম পেশায় নিয়োজিত আছেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রম বাজার সৌদি আরব। এছাড়া কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, লেবানন, জর্ডান ও লিবিয়াতে প্রচুর শ্রমজীবী বাংলাদেশি অবস্থান করছে। তবে চাঁদপুরের প্রবাসীদের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্য তথা আরব দেশগুলোতে শ্রম ব্যয় করছেন। মালয়েশিয়া,ইতালি,ফ্রান্স,সিংগাপুর,জাপান,দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাঁদপুরের প্রবাসী কর্মজীবী রয়েছে। তারাই এসব রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।
প্রবাসীরা প্রতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত এজেন্সি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এজেন্সির মাধ্যমে নিজেদের উপার্জিত অর্থ স্বজনদের কাছে প্রেরণ করে থাকেন। কোনো কোনো প্রবাসী ঝামেলা এড়াতে কেবলমাত্র একটি গোপন পিন নাম্বারের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন। তাছাড়া অনেক প্রবাসী তাদের স্বজনদের ব্যক্তিগত হিসাবেও অর্থ প্রেরণ করেন।
প্রসঙ্গত, সরকারের উদার পররাষ্ট্রনীতির ফলে প্রবাসীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। শ্রমজীবীগণ এখন কাজের দক্ষতা নিয়ে প্রবাসে যাচ্ছেন। বিদেশে গিয়ে কাজের সর্বোচ্চ সুযোগ পাচ্ছেন। ফলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে জেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসাথে প্রবাসীদের নিজ নিজ আর্থিক অবস্থার চিত্রও পাল্টে যাচ্ছে।
© www.newsnewstbd.com
নিউজনেস্ট