গতকাল ১৬ মার্চ ২০২৫ আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা ইমরান (২১) মৃত্যু বরণ করেন।
তার স্বজনরা দাবি করে তার মা বলেন আমার ছেলে বুকের শ্বাস কষ্ট নিয়ে ট্রমা সেন্টারে ভর্তি হয়। পরবর্তী ডাক্তার জানায় তাকে আইসিওতে শিফট করতে হবে। ডাক্তারের কথামত তাকে আইসিওতে ভর্তি করা হয়। তার স্বজনরা অভিযোগ করেন যে ইমরান আইসিওতে মৃত্যু বরণ করলেও ডাক্তাররা তাদেরকে ওষুধ ক্রয় করার জন্য বলেন। ততক্ষনে ইমরান আর নেই। সেটা যখন বুঝতে পারে তখন তার স্বজনরা হসপিটালে ডাক্তাররা ভূল চিকিৎসা অভিযোগ এনে হসপিটালে ভাঙ্গচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে।
কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারের কর্তপক্ষ একটি চার লক্ষ টাকা দিয়ে রফাদফা করেন।
প্রশাসনিক বিভাগ থেকে বলা হয় যে, গভীর দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। হাসপাতালের সকল চিকিৎসা প্রটোকল যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো ত্রুটি ছিল না।
মৃত ইমরান হোসেন ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার অকাল প্রয়াণে তার পরিবার চরম আর্থিক সংকটে পরেবে এবং বিশেষত তার ছোট প্রতিবন্ধী ভাই এরফানের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
রোগীর স্বজনদের আকুল আবেদনের প্রেক্ষিতে, কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারের পক্ষ থেকে তার প্রতিবন্ধী ছোট ভাইয়ের জন্য চার লাখ টাকা (৪,০০,০০০/-) অনুদান প্রদান করা হলো। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশা করে, এই সহায়তা পরিবারটির সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে।
উল্লেখ থাকে যে উভয় পক্ষের আইনগত কোন ব্যাবস্থায় জড়িত হবেন না। এই মর্মে স্বাক্ষীগনের সামনে স্বাক্ষর করলাম।
© www.newsnewstbd.com
নিউজনেস্ট