প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ১৯, ২০২৫, ১২:১৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৪, ২০২৪, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
চাচা ও তার শ্যালক সৌরভকে চার টুকরা করে
অনলাইন ডেস্ক//
ময়মনসিংহের মনতলা এলাকায় সেতুর নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সৌরভের খুনে জড়িত ছিলেন তারই আপন চাচা। আর চাচাকে খুনে সহায়তা করেছেন তার শ্যালক। খুনের পর লাশ নিয়ে ফেলা হয় মনতলা সেতুর নিচে। পুলিশ এ ঘটনায় চাচা ইলিয়াছ, তার শ্যালক ফারুক ও প্রাইভেট কারের চালক হান্নানসহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মদ ভুঁইয়া এসব তথ্য জানান। তাদের সবাইকে গত সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়।পুলিশ সুপার বলেন, চাচা ইলিয়াছের মেয়ে ইভার সঙ্গে প্রেম ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভাতিজা সৌরভের। কিন্তু ইভার তিন বছর আগে বিয়ে হয়ে যায় অন্য জায়গায়।
সেই স্বামী কানাডায় থাকেন। কিন্তু এর পরও ইভা ও সৌরভের গোপনে বিয়ে হয় কিছুদিন আগে ঢাকায়। সেই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি ইভার বাবা ইলিয়াছ। এ নিয়ে ইলিয়াছ ও সৌরভের বাবার মধ্যে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়।
ইলিয়াছ হুমকি দেন সৌরভকে মেরে ফেলার। ১ জুন সৌরভকে বাসায় ডেকে আনেন চাচাতো ভাই মৃদুল। সৌরভ ফোন পেয়ে চাচা ইলিয়াছের গোহাইলকান্দি বাসায় আসেন। এরপর সৌরভকে মাথায় আঘাত করে খুন করেন চাচা ইলিয়াছ ও তার শ্যালক ফারুক। এরপর লাশ বাথরুমে নিয়ে চাপাতি দিয়ে টুকরা করা হয়।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট নষ্ট করে দেওয়া হয়। খুনে ব্যবহার করা হয় হ্যান্ড গ্লাভস। রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে লাগেজ ভর্তি করে লাশ ফেলে আসা হয় মনতলা সেতুর নিচে।পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মদ আরো বলেন, রবিবার সকালে মনতলা সেতু থেকে লাশ উদ্ধারের পর জেলা ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি পুলিশ তদন্তে নামে। পুলিশ খুব দ্রুতই লাশের পরিচয় শনাক্ত করে ফেলে। এরপর সন্ধ্যার মধ্যেই পুলিশ খুনের রহস্য ও খুনিদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। এরপর ডিবি ও কোতোয়ালি পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে মাঠে নামে।
সোমবার প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় ইলিয়াছের শ্যালক ফারুককে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় মূল হত্যাকারী ইলিয়াছকে। তাদের তথ্যে গ্রেপ্তার করা হয় প্রাইভেট কারের চালক হান্নানকে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হত্যার কারণ পুলিশ জানতে পেরেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত কি না, তা তদন্তের পর জানা যাবে।
© www.newsnewstbd.com
নিউজনেস্ট
Copyright © 2025 NewsNest. All rights reserved.