গত ২৩ মে ২০২৫ কুমিল্লা নগরীর নিউ যত্ন মাদকাসক্ত নিরাময়ে যুবকের রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এটা কি পরিকল্পিত হত্যা নাকি আত্মহত্যা?
কুমিল্লা জেলার প্রত্যেকটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে রয়েছে নিজস্ব টর্চার সেল, চিকিৎসার নামে চলছে রমরমা বিপুল অর্থের বাণিজ্য । যারা পথভ্রষ্ট মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ে তাদের চিকিৎসার একমাত্র অবলম্বন হলো মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র। পরিবার খুব আশা ভরসা নিয়ে এসব কেন্দ্রে তাদের সন্তান, স্বামী আত্মীয় স্বজনদের ভাল হওয়ার জন্য চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রত্যেকটি মাদকাসক্ত নিরামায় কেন্দ্রে রয়েছে নিজস্ব টর্চার সেল। তবে গতকালের নিউ যত্ন নামের নিরাময় কেন্দ্রে এই রকম ঘটনা আজকের নহে গত ২০২৩ সালের জুলাই মাসে চুরির অপবাদ দিয়ে সাদ্দাম নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিককে রাতভর নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে যত্ন নিরাময় মাদকসক্ত কেন্দ্রের পরিচালক সাগর।
গোপন সূত্রে জানা যায় ২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে সাদ্দাম হোসেন নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিককে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে শুধুমাত্র দোকানের সামনে দাড়ানোর অপরাধে কোন রকম প্রমাণ ছাড়াই চোর সাব্যস্ত করে রাতভর নির্যাতন করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জানাযায় সাদ্দামকে নিউ যত্ন নিরাময় কেন্দ্রের তৃতীয় তলায় নিয়ে যায় সাগর ও দোকানের মালিক তারপরই তার উপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। সাদ্দামকে আটকে রেখে তার শরীরে পিঠে ধারালো ব্লেড দিয়ে খুছিয়ে খুছিয়ে আঁকা হয় এবং তাতে লবণ মরিচ লাগিয়ে দেয় এর কিছুক্ষণ পর অতিরিক্ত মারধর এবং রক্তক্ষরণের পর মারা যায়। একপর্যায়ে সাদ্দামের নড়াচড়া না দেখে তাকে দ্রুত কুমেক হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন কিন্তু নিউ যত্নের পরিচালকের বাসা কুমেক হসপিটালের পাশে হওয়ায় ডাক্তারকে ম্যানেজ করে লাশ নিয়ে আসা হয়।
তার মৃত্যুর খবরে কোন রকম মানতে পারছিলেন না তার সহকর্মীরা তারা বলেন সে একজন ভাল মানুষ খেটে এবং কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। চুরির অপবাদ কোন রকমে মানতে পারছিলেন না এবং কি তার পরিবার যখন সাদ্দামকে আটক করে রাখে খবর পেয়ে নিউ যত্ন নিরাময় কেন্দ্রে আসলেও তাকে ছাড়া হয় নি। পড়ে তিনি শুনতে পান সাদ্দামকে মেরে ফেলা হয়েছে।
এই খবর শুনতে পেয়ে তৎকালীন সদর দক্ষিন মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেন। এ বিষয়ে শোরুমের মালিক এবং নিউ যত্নের পরিচালক সাগরসহ ১০/১৫ জনকে আসামী করে সদর দক্ষিন মডেল থানায় মামলা করলেও আসামীরা ধরাছোয়ার বাহিরে থাকেন সাগরসহ অন্যানরা| সাদ্দামের স্ত্রীকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখনো মামলা রয়েছে পুলিশ কোন কাজ করে নি। আমরা গরীব মানুষ পুলিশ তাদের কথা শুনে , আমার তো এত টেকা পয়সা নাই যে স্যারেরা কমু মামলার কি হইছে। তিনি বলেন আমি শুধু আশায় বইয়া রইছি কবে মানুষটার হত্যার বিচার পামু!
এই দিকে সাদ্দামের চাচা জানান পুলিশ কাজ করলে আমার ভাতিজার খুনিদের এতদিনে ফাসি হতো, আল্লায় বিচার করবো। আল্লাহর ওরপে চাইরা দিলাম
© www.newsnewstbd.com
নিউজনেস্ট