
নিজের সংগঠনের কতিপয় নেতার ‘দুর্নীতি-অনিয়মের’ প্রতিবাদ করায় এখন প্রতিনিয়ত হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ জেলার এক নেত্রী।
জেলা শাখার মুখপাত্র রাশেদা বেগম সংগঠনের শীর্ষ কয়েক নেতার নাম নিয়ে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জের ১০ ব্যক্তি আমার নাম ও স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। তাদের অপতৎপরতার কারণে আমি আমার বিয়ের রাতে বাসর পর্যন্ত করতে পারিনি।”
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “আন্দোলনের কিছু নেতা নিয়মিত চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিতে জড়িত। যাদের একসময় মোবাইল ফোন কেনার সামর্থ্য ছিল না, তারা আজ আইফোন হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমি এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি আমার বাড়িতেও হামলার চেষ্টা চালিয়েছেন।”
রাশেদা বেগম বলেন, “আমি আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম। জুলাই আন্দোলনের সময় আহত কর্মীদের সেবা দিয়েছি। কখনও আর্থিক প্রলোভনে কাজ করিনি।”
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মুখপাত্রের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও পদত্যাগ করিনি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্যসচিব মাহদী হাসান বলেন, “রাশেদা বেগম সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি যদি চাঁদাবাজির কোনো প্রমাণ আমাদের বিরুদ্ধে দেখাতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আমাদের শাস্তি হওয়া উচিত। একটি কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তাকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।”