
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসের সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্ধারিত থাকলেও, সেই নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত কোচিংয়ের নামে শিক্ষার্থীদের উপর শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে।
অভিভাবকদের দাবি, প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অতিরিক্ত কোচিং ক্লাসে অংশগ্রহণ করাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম, খাবার কিংবা নামাজের সময় পাচ্ছে না। এমনকি কখনো কখনো ক্লাস চলাকালীন বিরতির সুযোগও দেওয়া হয় না। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ক্লান্ত ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় এক অভিভাবক জানান, তিনি যখন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান, তখন প্রধান শিক্ষক তাঁকে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও অপমান করেন। এ ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “ফেইল বা দুর্বল শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির জন্যই এ অতিরিক্ত ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে। তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত পাঠদানের অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল।” তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ প্রসঙ্গে সদর দক্ষিণ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মো. তৈয়ব হোসেন বলেন, “সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত সময় বাড়িয়ে ক্লাস নেওয়া কেন হবে? বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম বলেন, “বিষয়টি ইতোমধ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিভাবকদের দাবি, শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষকদের অনৈতিক আচরণ বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তারা আরও বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর এমন অতিরিক্ত চাপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।