শুরুটা জুলাই ২০২৪।তথাকথিত সসস্ত্র অভুত্থান চলমান।মেরে মেরে জীবনটা কেড়ে নিয়েও ক্ষান্ত থাকেনি বিপ্লবীরা।মরা লাশটার চোখ উপড়ে ফেলা হলো।ছুরি কাচির খোচায় খুচিয়ে খুচিয়ে চেহারা বিকৃত করে মৃত পুলিশ সদস্যকে শনিরআখরা ফুওভার ব্রীজে ঝুলিয়ে দেয়া হলো।৫ ই আগস্ট ২০২৪ নিজ চোখে কমপক্ষে ৩০-৩৫ টি পুলিশের পোশাক পরিহিত লাশ ঝুলতে দেখেছি যাত্রাবাড়ি থানার গেইটে।
এরকম সারা বাংলাদেশের থানা গুলোতেই পুলিশের উপর নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালায় জুলাই যোদ্ধারা।৫ ই আগস্টে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবরটা স্পষ্ট হলে এয়ারপোর্টে ডিউটিরত এপিবিএন এর সদস্যরা দৌড়ে পালিয়েছিলো জীবন রক্ষার্থে।
যাইহোক নয়া সরকাররে নয়া বন্দোবস্তে অনেকগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।অনেক মিমাংসিত বিষয়াদি কবর থেকে তুলেও বিচার করতে দেখা গেছে।৫০-৬০ জন বিডিআর সদস্যদের বিচার নিয়েও আহাজারি চলমান।
কিন্তু পুলিশের বিচার নিয়ে কোনো আওয়াজ নেই।পুলিশের রক্ত রক্ত না।পুলিশের জীবনের দাম নেই।পুলিশ মরলে কেউ কাদেঁনা।পুলিশের কোনো স্বজন নেই।পুলিশের কোনো পরিবার পরিজন নেই।সোজা কথা পুলিশের বাংলাদেশে বেচেঁ থাকার অধিকারই নেই।
এদেশে শুধু রাজাকারের নাতী- পুতেরাই পুতেরাই থাকবে।আবার ক্ষমতার পালাবদল ঘটলে লীগ নেতাদের তোষামোদকারীরাই পূর্ন ক্ষমতা নিয়ে জয় বাংলার জ্যাকেট পরে দেশসেবা করে বেড়াবে।
স্বজন হারানো পুলিশ পরিবারগুলির বিচার পাওয়া তো দূরের কথা বিচার চাওয়ার সুযোগটাই হয়তো হবেনা।
গত ৫ আগস্ট ৫ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত পুলিশকে কিলিং করেছে শিবির নামক এননিপির নেতারা। তখনই নতুন সরকার ডক্টর ইউনুস ইন্ডোমিনিটি চালু করে পুলিশ হত্যার এর বিরুদ্ধে কোন মামলা না নেওয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেন কিন্তু ছাত্র সমন্বয়করা যারা রয়েছেন শিবিরকর্মীরা তারা একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছেন এবং করা যাচ্ছেন মামলা বাণিজ্য।
তাহলে ইউনূস সরকার কার তোষামোদি করছে তা আর বুঝার বাকি রইলো না।
© www.newsnewstbd.com
নিউজনেস্ট