নিজস্ব প্রতিবেদক //
বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ার ঘটনায় শিশু সন্তানকে উদ্ধার করতে পারলেও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারলাম না বলে আক্ষেপ করছেন যুবক সোহেল খান।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বসেছিলেন সোহেল। মাইক্রোবাসটি পানিতে পড়ার পর তিনি গাড়ির কাচ ভেঙে তার শিশুসন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু স্ত্রীকে তিনি আর বের করতে পারেননি। এ সময় চোখের সামনে পানিতে মাইক্রোবাসটি তলিয়ে স্ত্রী রাইতি খান মারা যান।
গণমাধ্যমকে সোহেল খান জানান, হলদিয়া ইউনিয়ন থেকে আমতলী পৌর শহরে মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছিলেন তার শ্যালিকার বৌভাতে। মাইক্রোবাসে মোট ১৭ জন যাত্রী ছিলেন। আমতলী উপজেলার হলদিয়া ও চাওরা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী খালের সেতু অতিক্রম করার সময় সেতু ধসে খালে পড়ে যায়। মাইক্রোবাসে চালকের আসনের পাশে তিনি তার সাত মাস বয়সী শিশুসন্তান সাব্বিরকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন। তিনি বলেন, মাইক্রোবাসটি পানিতে পড়ার পর তিনি গ্লাস ভেঙে তার শিশুসন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু তার স্ত্রীকে তিনি আর বের করতে পারেননি। এ সময় পানিতে মাইক্রোবাসটি তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় পানিতে ডুবে তার স্ত্রী রাইতি খান মারা যান। আমতলীতে মাইক্রোবাস খালে পড়ার ঘটনায় মোট ৯ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সাতজন নারী ও দুই শিশু রয়েছেন।
নিহতরা হলেন: মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকার সাবেক সেনা সদস্য মাহাবুবর রহমান সবুজের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), শাশুড়ি রুমি বেগম (৪০), সবুজের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামী মুন্নি বেগম (৪০), তার সন্তান তাহিয়া (৭) ও তাসদিয়া (১১) এবং আরেক মামী ফাতেমা বেগম (৪০)। বাকি দুজন হলেন: আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া (২৮) এবং শিশুকন্যা রিদি (৫)।
© www.newsnewstbd.com
নিউজনেস্ট