কুমিল্লা বুড়িচং এ ভূয়া ভূমিহীন সনদ দিয়ে পতিত স্বৈরাচার সরকারের বাকশালীমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল করিম এবং এসিল্যান্ড তাহমিদা আক্তারের বিরুদ্ধে খাস জমি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলাধীন উত্তর শ্রীমন্তপুর মৌজায় নূরে আলম গংদের মালিকীয় ও ভূমি সংলগ্ন ০১ নং খাস খতিয়ানের ২৮৯ দাগের ০৫ শতক ভূমি, ১৯৫ শতক ভূমির অভিযোগ
মালিক আব্দুল খালেক ভূমিহীন সেজে তদীয় পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জাবির ও তার স্ত্রী মোসা: সেলিনা আক্তার পতিত স্বৈরাচার সরকারের বুড়িচং উপজেলা নেতা সাজ্জাদ হোসেন স্থানীয়
চেয়ারম্যান আব্দুল করিমের তদবী- রের মাধ্যমে প্রশাসনকে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে খাস জমি লিজ উপস্থাপন করে খাস জমি নিজ নিতে সক্ষম হয়। বুড়িচং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিদা আক্তার জৈনক জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে
১৯৫শতক ভূমির মালিক থাকা সত্ত্বেও ০৫ শতক ভূমি লিজ প্রদান করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জাহাঙ্গীর আলমের পিতা আব্দুল খালেক ১৯৫ শতক ভূমির মালিক হিসেবে তাহার পুত্র জাহাঙ্গীরসহ তিন পুত্র তিন কন্যা বিদ্যমান রয়েছে। সিএস ১৮০ নং খতিয়া নর দাগ নং ৩৪৬/১৫ তাহার দাদা-পিতা মৈধর গাজীর নামে ২৭০ শতক ও নাল ১৬.৫ শতক ভূমি রয়েছে। মৈধর গাজীর পুত্র
জাহাঙ্গীরের দাদা আনসর আলীর নামে আরএস ১১১ নং খতিয়ানে ২৭০ শতক ভূমি রয়েছে। উক্ত অংশে আনসর আলীর পুত্র আব্দুল বারেক ৪৫ শতক, আব্দুল মালেক (জাহাঙ্গীরের পিতা) ১৯৫ শতক, আব্দুল আনেক ৭৮ শতক, আব্দুল মালেকের ০৬ পুত্রের নামে ২৩ শতাংশ ভূমি বিএস জরিপে রেকর্ড হয়। জাহাঙ্গীরের পিতা আব্দুল খালেকের নামে বিএস খতিয়ান নং ৭৮ মতে ১৯৫ শতক ভূমি থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুল করিম কিভাবে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী সেলিনাকে ভূমিহীন সনদ প্রদান করা হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে কুমিল্লা জেলা বুড়িচং উপজেলাধীন কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত মোকদ্দমা নং ০৫ /২০২০-২১ ভুক্ত উত্তর শ্রীমন্তপুর মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ২৮৯ দাগের ০.০৫০০ একর ভূমির বাতিলের জন্য আবেদন করেন মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী।
ভুক্তভোগী নূরে আলম সিদ্দিকী জানান আমি জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আবেদন করেছি, জেলা প্রশাসক মহোদয় খতিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এটাই প্রত্যাশা করছি ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনিয়া হক সাংবাদিকদের জানান এটাতো জাহাঙ্গীর সাহেবের ইস্যু, এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর সাহেবের সাথে কথা বলেন। আমি তো সে সময় ছিলাম না জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাকে ছবি দেখিয়েছেন কিন্তু এখনো কপি আমার কাছে আসেনি।
© www.newsnewstbd.com
নিউজনেস্ট