প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ১৮, ২০২৫, ১১:১৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৪, ২০২৪, ৫:০৫ অপরাহ্ণ
মুরাদনগরে পুরাতন সিলেবাসে দশ মিনিট চলে এইচএসসি পরিক্ষা।

নিজস্ব প্রতিবেদক//
পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পর জানা গেল শিক্ষার্থীদের হাতে যাওয়া প্রশ্ন পুরাতন সিলেবাসের। বিষয়টি কেন্দ্রের এক শিক্ষার্থীর নজরে আসলে নড়েচড়ে বসেন কেন্দ্র সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ। প্রথম দেয়া প্রশ্ন তুলে নিয়ে পুনরায় আবার প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের হাতে দেন কেন্দ্র সচিব। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ১০ মিনিট অতিক্রম হয়ে গেছে। পরীক্ষা শেষে অতিরিক্ত দশ মিনিট না দেয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভে ফোঁসছে।
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায় অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিএমটি দ্বিতীয় বর্ষের কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন-০২ বিষয়ের পরীক্ষায় কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ওই কেন্দ্রে উপজেলার বাঁশকাইট ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও হায়দ্রাবাদ কলেজের কারিগরি শাখার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, গতকাল বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিএমটি দ্বিতীয় বর্ষের কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন-০২ বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। এই বিষয়ের আগের পুরাতন সিলেবাসের কোড ছিল ১৮২৩। নতুন সিলেবাস এর কোড হচ্ছে ২১৮২৩। কিন্তু ১৮২৩ কোড বিএম শাখার জন্য প্রযোজ্য ছিল। অথচ কেন্দ্রে কোন বিএম পরীক্ষার্থী ছিল না। সকলেই নতুন সিলেবাস এর বিএমটি শাখার শিক্ষার্থী ছিল এবং তাদের পরীক্ষার বিষয় কোড ২১৮২৩। বাঁশকাইট কলেজের কেন্দ্র সচিব প্রভাষক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া পুরাতন সিলেবাসের ১৮২৩ কোর্ডের দুই বান্ডেল প্রশ্ন খুলে পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিলি করেন। একজন শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে তারা বুঝতে পারে যে বিষয় কোডটি ভুল কাটা হয়েছে। তারপর নতুন সিলেবাসের ২১-৮২৩ কোডের বিষয়ের প্রশ্ন খুলে হলে পুনরায় প্রেরণ করা হয়। মাঝ খানে দশ মিনিট অতিবাহিত হয়ে যায়। এ বিষয়ে ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও হৈ-হুল্লোড় শুরু হলে পরবর্তীতে ১০ মিনিট বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদেরকে নিভৃত করা হয়। কিন্তু পরীক্ষা শেষে ১০ মিনিট সমন্বয় না করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
আরো জানা যায়,গত ৩০/৬/২০২৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরদিন ওই ভেন্যুতে কয়েকটি সম্পূর্ণ ইনটেক উত্তরপত্র ও ২৫ থেকে ৩০ টি অতিরিক্ত পেপার হল রুমে পরে আছে এমন সংবাদ পেয়ে, কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল একজন শিক্ষকের মাধ্যমে উদ্ধার করে খাতাগুলো নিজ অফিসে সংরক্ষণ করেন।
কেন্দ্র সচিব নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে, বিষয়টি তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করে বলেন এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটে নাই কেন্দ্রে। প্রশ্নপত্রের সবকটি ভান্ডেল কেন খুললেন ? এমন প্রশ্ন করলে তিনি মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সিফাত উদ্দিন পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্ন দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সঠিক প্রশ্নটি খোঁজে না পাওয়ায় ভুলক্রমে পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্নটি বিতরন করা হয়। তবে কোন পরিক্ষার্থীর যদি কোন সময় নষ্ট হয়ে থাকে তাকে সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
© www.newsnewstbd.com
নিউজনেস্ট
Copyright © 2025 NewsNest. All rights reserved.