
আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির রামগড় ৪৩ বিজিবি এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে পুশইন, গরু চোরাচালান এবং চামড়া পাচার প্রতিরোধের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ সীমান্ত এলাকায় টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ০৪ জুন সকালে রামগড় বিজিবির আওতাধীন মহামুনি বিওপি ক্যাম্প সীমান্ত এলাকায় ৪৩ বিজিবির জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ আহসান উল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিং করেন।
ব্রিফিং এ রামগড় ৪৩ বিজিবির জোন কমান্ডার বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ কুরবানির পশু মজুদ রয়েছে। দেশীয় খামারিরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, এজন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যাতে গরু দেশে ঢুকতে না পারে, সেজন্য রামগড় ৪৩ বিজিবির অধীনস্থ সকল বিওপি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে ঈদের পর কুরবানির চামড়া যাতে পাচার হয়ে যেতে না পারে, সেজন্য বিজিবি দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য বিজিবি এর সদস্যরা সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ঈদের জামায়াত সহ নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট ও তৎপর থাকবে।সাম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে পুশইন প্রতিরোধে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জন সাধারণকে সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশইন করায় বিজিবির প্রতিপক্ষ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন এর সাথে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
ব্রিফিং এ আরো উপস্থিত ছিলেন, রামগড় ৪৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক এডি রাজু আহম্মেদ।