
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায় ১৭৫৭ সালের পর মীর জাফরের বিশ্বাস ঘাতকতার পর ভারত উপমহাদেশ ২০০ বছরের শাসন এবং শোষণ করে । অনেক কষ্টের বিনিময়ে ত্যাগ তিথীক্ষার মাধ্যমে ৪৭ সালে বৃটিশরা পরাজয় বহন করে দেশ থেকে লেজ গুটিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয় যা ইংল্যান্ডকে বুঝায়। মীর জাফর মসনদের অধিকারী ছিলেন কিন্তু ফরমায়েশী করতেন লর্ড ক্লাইভ। শেষ পর্যন্ত মীর জাফরকেও হত্যা করা হয়, আর লাটবাহাদুররা তো চলেই যান। ফলাফল শূন্য।
এটা বলছিলাম মধ্য যুগের কথা।
শেষ যুগের কথা বা আধুনিক যুগের কথা বলা হয় তা হলে বলা যায়।
বাংলাদেশের মানুষ খুবই সহজ সরল ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা পেলেও মানুষ স্বাধীনতা পায় নি। ক্ষমতার হাতবদল হলেও মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।
এই দেশের স্বাধীনতার পেছনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক, মাওলানা হামিদ খান ভাষাণী, শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমানসহ দেশের সকল কৃষক শ্রমিক ভাইদের অবদান অনস্বীকার্য।
দেশ কোন আবেগ কিংবা ধ্বংসাত্মক মারামারি কাটাকাটি দিয়ে চলে না।
বলাই আছে যে দেশের যাতায়ত ব্যবস্থা উন্নত সে দেশ তত উন্নত, কিন্তু আমাদের দেশে যেই দলই ক্ষমতায় এসেছে রাস্তা বা সড়কের তেমন কোন স্থায়ী উন্নয়ন সম্বব হয় নি। শেখ হাসিনার আমলে রাস্তায় রডের বদলে বাঁশ, এমনও জায়গা রয়েছে কালভার্ট কিন্তু রাস্তা নেই।
যার প্রেক্ষিতে অধনিকার প্রেমে পড়ে ছাত্র জনতা হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।
তার পরও ক্ষান্ত হয় নি দেশের ছাত্র জনতা একে একে শেখ মুজিবুরের মূর্তি স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে।
গত ০৬ মাসে একের পর এক আন্দোলনে বন্ধ হচ্ছে শিল্প কারখানা, চাকুরিচ্যুত হচ্ছে অনেক শিক্ষক।
সংস্কাকারের নামে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বাড়ি ঘরে চলছে, নৈরাজ্য।
একের পর এক লাশ, গত দুই দিন ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। দেশের মানুষ এবং ছাত্ররা মনে করছেন এতে তাদেরই জয় হয়েছে, এটা নিছকই ভূল ধারনা, বরং শেখ হাসিনারই জয় হয়েছে।
দেশকে বাঁচাতে হলে এখনই নির্বাচন দিয়ে, নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেওয়া। না হয় রাষ্ট্র হবে যুদ্ধ বিগ্রহ পতিত ভূমিতে।
দেশের বাহির থেকে শেখ হাসিনা উগ্র কথা বললে আপনারা সেই উগ্রতামী দেখানোর জন্য দেশে অস্থিতিশীলতা কায়েম করবেন?
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ভাবে খুব নেতি বাচক প্রভাব পড়বে যা অকল্পনীয়।
প্রদান উপদেষ্টা পন্থী যারা রয়েছেন তারা মনে করেন কিছুই হবে না, তাদেরকে বলবো তারা অলীক জগতে বাস করছেন। যেমন নাপা এক্সটা আর ডাইক্লোফেন সাপোসিটর দুটোর কাজ একই, একটা সাথে সাথে কার্যকরী আরেকটা ধীরে ধীরে কার্য সম্পাদন করে।
হাসছেন শেখ হাসিনা, কাঁদছে দেশের মানুষ।