শুক্রবার , ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক পিঠালেন বিএনপির নেতা

আমিনুল ইসলাম আহাদ:
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫ ৮:৩৪ অপরাহ্ণ
পঠিত: ৩৭ বার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিনের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন কালবেলা ও এনটিভির নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২.১৫ মিনিটে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বশির উদ্দিন তুহিনের নেতৃত্বে তার ভাতিজা কে.এম মারজান, কে এম নাসিরসহ ১০-১২ জন ছাত্রদলকর্মী ওই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।

মারধরে মাহমুদের মুখ, চোখ, মাথা, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়েছে। পরে নাসিরনগর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান

নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আবুল বাশার বলেন, ‘তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। আরও কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না সেটা জানার জন্য পরীক্ষা করা হবে।’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ১২টা এক মিনিটে ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। এ সময় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুইজনকে ছাত্রলীগ বলে পেটাতে থাকে। ঘটনাটি ফোনে ধারণ করতে গেলে বশির ও তার সমর্থকেরা ওই সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসে। এ সময় বশির সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে প্রথমে রড দিয়ে আঘাত করে, পরে তার ভাতিজা ও সহকর্মীরা রড চাপাতিসহ উপর্যুপরি আক্রমন করেন।

হামলার শিকার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সাথে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়েছিলাম। সেখানে জাতীয় নাগরিক কমিটির দুজনকে ছাত্রলীগ বলে পেটানো হচ্ছিল। পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে সেখানে ফুটেজ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দৌঁড়ে এসে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে তার ভাতিজারা সহ বশিরের দলীয় অনুসারীরা রড, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে।

এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জানা গেছে ওই ঘটনার জের ধরে উপজেলা নাগরিক কমিটি ও সাংবাদিক মাহমুদের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে ওই মামলায় কাদের আসামী করা হবে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, ‘নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সম্মিলিতভাবে ফুল দিয়ে শহীদ মিনার থেকে চলে যাওয়ার পর নাগরিক কমিটির একাংশের নেতাকর্মীরা ফুল দিতে আসে। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মী সোহেলও ছিল। তাকে দেখে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হট্টগোল শুরু করে। সোহেল যে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্তছিল সেটির প্রমাণও পুলিশ পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশ সোহেলকে হেফাজতে নেয়ার সময় তাকে মারধর করতে থাকে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিক মাহমুদকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাউন্ডারি নির্মাণ, নীরব থানা পুলিশ!

কুমিল্লা ঢাকা-চট্রগ্রাম মাহসড়কের পাশে অবৈধ দোকান-পাট উচ্ছেদ

ত্রিশাল সরকারি নজরুল কলেজ মার্কেটে আ.লীগের অফিস

কুমিল্লায় নানা আয়োজনে বর্ষবরণ উৎযাপন হচ্ছে 

ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে অভিনন্দন ছাত্রশিবির

গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙতে গিয়ে জনতার হাতে সমন্বয়কসহ আহত ১৫

কুমিল্লা সদর দক্ষিনে শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট

লাকসামে সাইমন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, মূল আসামিসহ আটক ২

কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সহ ছাত্রদলের কর্মী আটক

কুমিল্লার ৪ ব্যাংকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮১২ কোটি ১২৭ লাখ টাকা