
আজ কুমিল্লার সদর দক্ষিন উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়ন রাস্তার কাজ বন্ধ করে চাঁদা চাওয়ায় এলাকাবাসী চারজনকে মারধর করেছে।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানাযায়, গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে লক্ষ্মীপুর চৌমুহনি রাস্তার কারপেটিং কাজ করার সময় বাধা প্রদান করে আলী আক্কাস এর ছেলে মাসুম বিল্লাহ, মনিরুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ, আব্দুল গফুরের ছেলে খলিলুর রহমান, মফিজুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ রাসেলসহ আরো ৫/৬ জন। আরো খোঁজ নিয়ে জানাযায় তারা বিএনপির সক্রিয় কর্মী।
তারা চারজন ঠিকাদার’কে বলেন, চাঁদা না দিলে রাস্তার কাজ বন্ধ থাকবে কোন কাজ করতে দেওয়া হবে না। এলাকাবাসী এইসব চাঁদাবাজদের প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে তাদেরকে মারধর করেন। খবর নিয়ে আরো জানাযায় তারা বিএনপির দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ মাটি ব্যবসা হতে শুরু করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে কেহ কথা বলতে রাজি নহে আজ যখন রাস্তার কাজে বাধা প্রদান এবং চাঁদা চাওয়াতে এলাকাবাসী তাদেরকে গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনিতে তারা স্থানীয় বিএনপির মদদ পৃষ্ঠে এইসব অবৈধ কাজ দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে বলে অভিযোগের প্রকাশ।
সদর দক্ষিণ উপজেলার বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শামীম মেম্বার এবং ৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি খলিলুর রহমান গণপিটুনির কথা শুনে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তাদের নেতারা ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছে এবং এলাকার মানুষকে তার প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে নিয়ে যায়।
উক্ত বিষয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শামীম মেম্বার’কে মুঠো ফোন দিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন ছেলেরা গিয়েছে কথা সত্য কিন্তু চাঁদা চাওয়ার জন্য না, কাজের মান ভাল হচ্ছে না দেখে কাজ বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদারকে বলে। তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন কিনা এমন অভিযোগটি বললে তিনি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন তাদের মধ্যে পূর্বের শত্রুতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।
ঠিকাদারকে উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি বলেন ভাই আমি অনেক কষ্ট করে এই কাজটি সেংশন করিয়ে এনেছি আর এটা আমার এলাকা রাস্তার কাজ যেন ভাল হয় আমি সেই দিকটা খুব দেখছি কারণ আমার নিজের এলাকার রাস্তা খারাপ হলে নিজেরই খারপ লাগবে। আপনার কাজ কে বন্ধ করে দিয়েছে তখন তিনি বলেন , আমি রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ শুরু করছি সকাল থেকে, মাসুম, ফয়সাল, খলিল, রাসেলসহ ০৬ জন ছেলে এসে আমাকে বলে যে ঐ জায়গা, ঐ জায়গা দিয়ে কাজের সমস্যা তখন আমি বললাম তাদেরকে আমি কি ঐ দিক দিয়ে কাজ এখনো করছি? তখন তারা বলল না। এর আগে যে মাটির কেরিং করছে ঐ দিক দিয়ে টার্নিং এর কারণে রাস্তার বেহাল দশা হয়েছে। তারা মিনিমাম ৫০০০ হাজার গাড়ির মাটির ব্যবসা করেছে। তাদেরকে আমি বলি যদি ঐ জায়গায় আমি কাজ করার সময় যা যা করার প্রয়োজন আমি করে দিব। তারপরেও তারা কথা না শুনে আমাকে কাজ বন্ধ করার জন্য বলেন, একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের ওপর বিরক্ত এবং ক্ষিপ্ত হয়ে গণধোলাই দেন। প্রতিবেদক ঠিকাদারকে প্রশ্ন করা হয় আপনার কাছে কি কোন চাঁদা চাওয়া হয়েছে কিনা তখন তিনি বলেন ভাই কাজ বন্ধ করা মানেই তো চাঁদা চাওয়া তারা আমার কাছে চাঁদার জন্যই কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে, আমরা তো ভাই বুঝি। তারা তো কোন এলজিইডির কেহ নয় আবার ইঞ্জিনিয়ার ও না। আমি কতটুকু কাজ করতেছি আপনারা এসে দেখে যান।
এই রিপোর্ট করা পর্যন্ত তারা আরও শক্তিশালী এবং দলবল নিয়ে এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।